{ads}

কেমন হবে ‍আপনার ঘরের টাইলস? How about the tiles in your house?

কেমন হবে ‍আপনার ঘরের টাইলস? How about the tiles in your house?

আজকালকার যুগে টাইলস ছাড়া ঘর বাড়ি কল্পনাই করা যায় না। কিন্তু আজ থেকে পনের বা বিশ বছর আগের চিত্র ছিল ভিন্ন। তখন অনেকেই টাইলস লাগাতেন না। টাইল ছিল উচ্চবিত্তদের অস্ত্র! মধ্যবিত্তদের এসব লাগানো এক প্রকার বিলাসিতাই ছিল। তখন একটু উচ্চবিত্তপনা প্রকাশে টাইলস ও মোজাইক এর কাজ করাতে দেখা যেত। দিন বদলেছে। মানুষ এখন টাইলস ব্যবহার করে। শুধু ঘরের মেঝেতেই করে না, ঘরে দেয়ালেও করে। রঙ করার বদলে টাইলস লাগায়। এতে বছর বছর রং করার খরচ যেমন বেঁচে যায়, তেমনি দেয়াল আর ফ্লোরের স্থায়িত্বও বাড়ে। টাইলসে এসেছে নানান প্রকারভেদ; কোনটা দেয়ালের জন্যে, কোনটা ফ্লোরের জন্যে, কোনটা বাথরুমের জন্যে, আবার কোনটা আবার বাগানের জন্যে। কোন কোন টাইলস বানানোই হয়েছে পার্কিং এরিয়ার জন্যে! এরকম হাজার রকমের টাইলসের গল্পই বলব আমরা। ঘরের মেঝেতে টাইলস এর ব্যবহার কবে থেকে শুরু এটা সময় গুণে বলা মুশকিল। তবে ধারণা করা হয় মোঘলদের আমল থেকে নিট ফিনিশড ফ্লোরের বদলে টাইলসের ব্যবহার শুরু হয় এই উপমহাদেশে। আর মোঘলরা এটা শিখেছে পশ্চিমাদের কাছ থেকে। পশ্চিমারা অনেক আগে থেকে টাইলস ব্যবহার করতো। তবে সেগুলো ছিল গ্রানাইট ও মার্বেলের। টাইলস বলতে আমরা যা বুঝি, এই মানব সৃষ্ট টাইলগুলোর প্রচলন হয় এই শতকে এসে। এরপর এর বহুল ব্যবহার হতে থাকে। এখন সময় এমন দাঁড়িয়েছে যে, টাইলস ছাড়া বাড়ি খুঁজে পেতে রীতিমত খড়ের গাদায় সুঁই খুঁজতে হবে! মূলত টাইলস দুই প্রকারঃ হোমোজিনিয়াস, ও হেটারোজিনিয়াস। হোমোজিনিয়াস টাইলস হল সেই টাইলস যা বার বার ঘর্ষণের ফলে ক্ষয় হলেও এর রঙ ও প্রলেপ নষ্ট হয় না। এর পুরোটাই টাইলস এর মৌলিক উপকরণ দিয়ে তৈরি। এটি মূলত তিন ফুট বাই তিন ফুট, দুই ফুট বাই দুই ফুট ও একফুট বাই এক ফুট এর হয়। তবে দশ ইঞ্চির টাইলসও দেখতে পাওয়া যায় কিছু কিছু দোকানে। এসব টাইলস যেখানেই লাগানো হোক, ব্যবহারের ফলে এর রঙ নষ্ট হয় না। এর চকচকে ভাব নষ্ট হয় কিন্তু এর মূল রঙ নষ্ট হয় না। হেটারোজিনিয়াস টাইলস হোমোজিনিয়াস টাইলস এর ঠিক উলটো। এটির ওপর হালকা একটা আস্তরণ দেয়া থাকে যা টাইলস এর মূল রঙ মনে হলেও কিছু বছর ব্যবহারের পর এর ভেতরকার আসল লালচে রঙ বের হয়ে আসে। এধরণের টাইলস সাধারণত কম দামী হয়। টাইলস এর আরো প্রকারভেদ আছে। আসুন সেগুলো জেনে নিই। গ্লসি টাইলস বা মিরর পলিশ টাইলসঃ এই সব টাইলস দেখলেই মন ভাল হয়ে যায়! কারণ, আয়না ছাড়াই এর ভেতর নিজের প্রতিচ্ছবি দেখা যায়। আয়নার মতো চকচক করতে থাকে এগুলো! এসব টাইলস এর কোণগুলো খুবই ধারালো কাটার দিয়ে কেটে পলিশ করা থাকে। ঠিকমতো লাগাতে পারলে একটা ফ্লোরে কয়টা টাইলস আছে এটা চোখের দেখায় বোঝা সম্ভব হয় না অনেকসময়। এসব টাইলস বেশ ব্যবহার হচ্ছে ফ্লোরে। সাধারণত ফ্লোরেই এসব টাইলস ব্যবহার হয়। আর চকচক করতে থাকে! বহুল ব্যবহারে এর গ্লসিনেস কমে যায়। তখন গ্রাইন্ডার মেশিন ব্যবহার করে একে আবার পলিশ করলে আগের মতো চকচক করতে থাকে। রাস্টিক টাইলসঃ এসব টাইলস হয় খসখসে। অনেক সময় বিভিন্ন প্রকারের টেক্সচার থাকে। যেমনঃ কাঠের টেক্সচারওয়ালা টাইলস দেখলে বোঝার উপায় থাকে না যে এটা কাঠের তৈরি নাকি টাইলস। আবার কিছু টাইলস আছে দেখতে একেবারে কংক্রিট ফেয়ারফেস এর মতো। এসব টাইলস বেশ ব্যবহার হচ্ছে ইদানীং। বাড়ির বাইরে বা ভেতরের দেয়ালে মূলত এগুলো ব্যবহার বেশী হয়। টাইলস কীভাবে লাগানো হয়? টাইলস লাগানোর জন্যে একটু এবড়ো-থেবড়ো সার্ফেস দরকার হয়। যেমনঃ একদম মসৃণ ফ্লোর বা দেয়াল হলে সেটা খোদাই করে এবড়ো-থেবড়ো করে নেয়া হয়। এতে টাইলস এর ইনগ্রেডিয়েন্টস এর সাথে এটি লাগানোর আঠা বা প্রলেপ এবং যেখানে লাগানো হবে, সেই জায়গাটির ভাল বন্ধন তৈরি হয়। এর ব্যতয় ঘটলে টাইলস উঠে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। অনেকসময় ভালমতো খোদাই করে টাইলস না লাগানোর ফলে দুর্ঘটনাও ঘটে। মানুষের ওপর টাইলস ভেঙ্গে পড়ে। উঁচু নিচু হয়ে থাকা ফ্লোরে হোঁচট খায় মানুষ। এজন্যেই টাইলস লাগানোর আগে মাদার সার্ফেস ভালো মতো কিউরিং করে নেয়া প্রয়োজন। টাইলস কী দিয়ে লাগানো হয়? টাইলস সিমেন্ট বা কনমিক্স প্লাস্টার দিয়ে লাগানো হয়। সিমেন্ট ও বালির মিশ্রণে পানি মিক্স করে একটি প্লাস্টার বানানো হয়। পানির পরিমান বেশী হয়ে গেলে পেস্ট হালকা হয়ে যায়। তখন আবারও সিমেন্টের পরিমান বাড়িয়ে একে পেস্ট বানানো হয়। এরপর একে ফ্লোরে বা দেয়ালে প্রলেপ হিসেবে দেয়া হয়। এরপর একের পর এক টাইলস বসিয়ে যেতে হয় ডিজাইন অনুযায়ী। বর্তমানকালে টাইলস বসানোর জন্যে ডিজাইন করা হয়। বাসাবাড়িতে ডিজাইন মোতাবেক টাইলস বসানো হলে দেখতে মনোমুগ্ধকর হয়। অথচ একই দামের টাইলস ডিজাইন ছাড়াও লাগানো যায়। একই খরচে সুন্দর ঘরকেও কুৎসিত মনে হয়। টাইলস কাটার জন্যে গ্রান্ডিং মেশিন ব্যবহার করা হয়। ডিজাইন মোতাবেক মাপ মেলানোর পর গ্রান্ডিং মেশিন দিয়ে টাইলস কেটে এটাকে ব্যবহার করা হয়। তাছাড়া অনেক সময় টাইলস ডিজাইন করে বসাতে গেলে বেশ কিছু ওয়েস্টেজ হয়। সেগুলো আবার মাপমতো স্কার্টিং এ ব্যবহার করা হয়। এসব কাজে গ্রান্ডিং মেশিন ছাড়া মোটেও চলে না। এছাড়া অনেকেই টাইলস কাটার ব্যবহার করেন। মাপমতো একটা কাটলে টাইলস দুইভাগ হয়ে যায়। এই মেশিনের নাম স্ন্যাপ কাটার। বাংলাদেশে এই স্ন্যাপ কাটার বহুল ব্যবহার হচ্ছে বর্তমানে। স্ন্যাপ কাটার দিয়ে সোজাসুজি বেশ সুন্দরভাবে কম সময়ে টাইলস কেটে ফেলা যায়। তবে বিশেষ কোন ডিজাইন, যেমনঃ ফুলের নকশা বা কার্ভ লাইন থাকলে তখন গ্রান্ডিং এর বিকল্প থাকে না। টাইলস লাগানোর জন্য মিক্সচার কনমিক্স কিনতে পাওয়া যায়। এটি প্যাকেটজাত বস্তু। পাউডার সদৃশ বস্তুটিকে পানির সাথে মিশিয়ে ব্যবহার করতে হয়। এটি পানিরোধী বস্তু। বর্তমানে এর ব্যবহার বেড়েছে। বেশ দ্রুত শুকিয়ে যায় বিধায় এর ব্যবহার সুবিধাজনক। টাইলস লাগানোর পদ্ধতিঃ টাইলস লাগানোর জন্যে প্রথমে যে সার্ফেস এ লাগানো হবে সেটি পরিষ্কার করে নেয়া আবশ্যক। পরিষ্কার করার আগে পূর্বে উল্লেখিত নিয়মে মাদার সারফেসকে টাইলস লাগানোর উপযুক্ত করে নেয়া আবশ্যক। এরপর যাতে কোন ধুলোবালি না থাকে সেটা নিশ্চিত করতে হয়। এরপর পানি দিয়ে সেই স্থান ভিজিয়ে নিতে হবে। খেয়াল রাখতে হবে যেন পানি সঠিক পরিমাণে পড়ে। বেশী পানি ব্যবহার অবাঞ্ছনীয়; আবার কম পানি ব্যবহার করাও অনুচিত। সঠিক পরিমান পানি দিতে হবে যেন পুরো সারফেস ভিজে যায়। আবার কোথাও যেন পানি জমে না থাকে, সে বিষয়েও খেয়াল রাখতে হবে। এরপরের কাজটি হল টাইলস এর পুরুত্ব বিবেচনায় লাগানোর পরে এর লেভেল নির্ধারণ। এক্ষেত্রে বেশ কিছু লেভেলার ব্যবহার করা হয়। এককালে সুতো দিয়ে টাইলস এর লেভেল নির্ধারণ করা হত। এক্ষেত্রে বেশ কিছু ভুল হবার সম্ভাবনা থাকে। বর্তমানে লেভেলার হিসেবে লেজার লাইটের ব্যবহার বেড়েছে। লেজার লাইট দিয়ে সঠিক লেভেল নির্ধারণ করা হয়। এক্ষেত্রে প্লাস্টারের পুরুত্ব আধ ইঞ্চি থেকে যেকোন পরিমান হতে পারে। প্লাস্টার যদি কনমিক্স হয়, তাহলে প্লাস্টার দিয়ে টাইলস এর পুরুত্ব বাদ দিয়ে বাকি অংশ ফিল করে দিতে হবে। এরপর টাইলস বসাতে হবে। টাইলস বসানোর সময় দুটো বিষয় খেয়াল রাখতে হবে। প্রথমত টাইল থেকে টাইল এর দূরত্ব যেন সমান থাকে। এক্ষেত্রে টাইলস স্পেসার ব্যবহার করা উচিৎ। টাইলস স্পেসার হল ক্রস আকৃতির প্লাস্টিকের স্পেসার যা প্রতিটি টাইল বসানোর পর বসিয়ে দিয়ে রাখতে হয় যতক্ষণ টাইল শক্ত না হচ্ছে। এরপর এটি তুলে নতুন টাইলের জায়গায় লাগাতে হবে। এভাবেই টাইল স্পেসার দিয়ে সঠিক গ্যাপ দিয়ে টাইল লাগানো হয়। টাইল শক্ত হয়ে গেলে ফিলার দিয়ে টাইলের মাঝের গ্যাপগুলো বন্ধ করে দিতে হবে। মনে রাখতে হবে যদি রঙ এর কাজ শেষ না হয়, তবে এই গ্যাপ সাথে সাথে বন্ধ করা যাবে না। আগে রঙ এর কাজ শেষ করতে হবে। কারণ রঙ এর ফোঁটা পড়ে টাইলের মাঝের এই হোয়াইট সিমেন্ট রঙিন হয়ে যাবে। তাতে খুবই বিদঘুটে আকার ধারণ করবে ফ্লোর। টাইলস শুকানোর আগে যদি দেখা যায় যে, এটা ঠিক মতো লেভেল হয়নি, তখন এটাকে ঠিক করতে হবে। বিশেষ করে সাকার মেশিন দিয়ে আশেপাশে সবক’টা টাইলস একসাথে সমান করতে হবে। এটা বেশ সময় সাপেক্ষ। তবে এটা করতেই হবে। নইলে টাইলস দেখতে খুবই বাজে দেখাবে। অনেকসময় কনমিক্স বা সিমেন্ট প্লাস্টারের ভেতর বাতাস থাকে। সেই বাতাস ঠিকমতো বের না হলে টাইলের ভেতর বাতাস থেকে যায় যা পরবর্তীতে টাইলস ভাঙ্গা ও নষ্টের জন্যে দায়ী। তাই কনমিক্স বা সিমেন্ট প্লাস্টারের ভেতর যেন কোনভাবেই কোন বাতাসের বুদবুদ না থাকে, সে বিষয়ে খেয়াল রাখতে হবে। প্লাস্টারের লেভেল সমান না হলে আবারও প্লাস্টার দিয়ে সমান লেভেল করতে হবে। টাইল পরিষ্কারঃ টাইলস শুধু লাগালেই হয় না, একে প্রতিদিন পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করতে হয়। সিরামিক টাইল হোক বা রাস্টিক টাইল, একে প্রতিদিন বা ক’দিন পর পর নিয়ম করে পরিষ্কার করতে হবে। পরিষ্কারের নিয়মঃ ১. পানি ও ডিটারজেন্ট পাউডার দিয়ে টাইলস পরিষ্কার করলে টাইলস বেশ চকচক করে। দেখতে সুন্দর দেখায়। এর আগে অবশ্যই ময়লা পরিষ্কার করে নিতে হবে। ২. ফ্লোর ক্লিনার ব্যবহার করতে হবে। এগুলো বাজারে বেশ বিক্রি হয় এখন। লাইজল বা ভিক্সল ব্র্যান্ডগুলো বাদেও আরো নানা রকম ফ্লোর ক্লিনার পাওয়া যায়। এগুলো পরিমানমতো পানিতে মিশিয়ে ব্যবহার করা আবশ্যক। একটু বেশি হলেই দামী টাইলস এ দাগ পড়ে যাবে! তাই ব্যবহারে সাবধানতা আবশ্যক। ৩. টাইলস এর কোণায় কোণায় বেশী ময়লা জমে। বিশেষ করে স্কারটিং এর ওপর ময়লার আস্তরণ জমে। কোণায়ও জমে যায় নানান আস্তরণ। এগুলো টুথব্রাশ দিয়ে পরিষ্কার করতে হবে। ৪. তেল, ঝোল বা চর্বি জাতীয় খাবার টাইলস এ পড়লে সাথে সাথে এগুলো দাগ ফেলে দেয়। দ্রুত সাবান দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে জায়গাটা। ৫. ১:৫ অনুপাতে ভিনেগার ও পানি মিশিয়ে দ্রবণ তৈরি করতে হবে। এটি টাইলস এর ওপর ছিটিয়ে বা ভিজিয়ে দিলে দ্রুত টাইলস তার আগের রুপ ফিরে পাবে। এরপর পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে। ৬. টাইলস পরিষ্কারের পর আগের উজ্জ্বলতা ফিরে না আসলে একটা কাপড়ে বেকিং সোডা নিতে হবে। এক্ষেত্রে ফোম ব্যবহার করা সবচেয়ে সুবিধাজনক। এতে টাইলস এ নতুন করে দাগ পড়ে না। ফোম ঘষে দিতে হবে টাইলস এ। খানিকপরেই দেখা যাবে টাইলস নতুনের মত চকচক করছে! ৭. ব্লিচিং পাউডার দিয়েও টাইলস পরিষ্কার করা যায়। এক্ষেত্রে ব্লিচিং পাউডার, বেকিং সোডা ও পানি ১:৩:৫ অনুপাতে মিশিয়ে নিয়ে টাইলসে ছিটাতে হবে। এরপর ভালমতো ঘষে দিলে টাইলস আবার আগের মতো পরিষ্কার হয়ে যাবে। ৮. টাইলস জীবাণুমুক্ত করার জন্যে ডেটল বা স্যাভলন ব্যবহার করা উচিৎ। আমাদের পরিবারের স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্যে টাইলস পরিষ্কার রাখার কোন বিকল্প নেই। টাইল ফ্লোর বা দেয়াল যেখানেই লাগানো হোক, এটি রক্ষণাবেক্ষণ বেশ জরুরী। টাইলস অপরিষ্কার থাকলে বা টাইলস এর ফাঁকে ময়লা জমে এটি মানব শরীরের ওপর প্রভাব ফেলবে। মানুষ সহজেই অসুস্থ হয়ে পড়বে যদি টাইলস পরিষ্কার রাখা না হয়। বিভিন্ন রোগজীবাণুর বাসা যাতে টাইলস না হয়ে এ বিষয়ে খেয়াল রাখতে হবে। নিয়মিত টাইলস পরিষ্কার রাখলে এটি অনেক বছর পর্যন্ত একই রকম থাকে। একটি ঘরের অন্দরমহল কেমন হবে তা অনেকাংশেই টাইলস এর ওপর নির্ভর করে। তাই টাইলস লাগানো ও এর রক্ষণাবেক্ষণে সচেতনতা বেশ জরুরী।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.