কন্ট্রাক্ট-পূর্ববর্তী সময়কালীন কাজ
ভবন নির্মাণের প্রথমেই কোথায় নির্মাণকাজ হবে সেটি অর্থাৎ ভবনের লোকেশন ঠিক করে নিতে হবে। অনেক সময় জায়গার স্বল্পতার কারণে কিংবা ভৌগোলিক বৈশিষ্ট্যের জন্য নির্মাণের জায়গা নির্বাচনে অধিক সচেতন হতে হয়। এরপর ক্লায়েন্টের চাহিদা ও বাজেট অনুযায়ী একটি কার্যকর নকশা করা হয়। নকশাকে বাস্তবায়ন করতে অভিজ্ঞ প্রকৌশলীর সাহায্য নিয়ে ফাউন্ডেশন, স্ট্রাকচার এসব ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। নকশা নির্বাচনের পর কাঁচামালের হিসেব, শ্রমিকের মজুরি এবং যাবতীয় খরচসহ একটি খসড়া বাজেট তৈরি করা হয় যা পরবর্তীতে নির্মাণকাজ চলাকালীন পরিবর্তিত হতে পারে। সয়েল টেস্ট কিংবা মাটির পরীক্ষা একটি নিরাপদ ভবন নির্মাণে সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ। সাধারণত ভবনের লোকেশন নির্ধারণের সাথে সাথে এই পরীক্ষা শুরু হয় এবং ভূ-বিশারদেরা একটি নির্দিষ্ট সময় পর ওই এলাকার মাটির উপর একটি রিপোর্ট প্রকাশ করে থাকেন যেখানে মাটির প্রকৃতি, দূষণের প্রকৃতি-পরিমাণ এবং ঝুঁকিসমূহ চিহ্নিত করা হয়। সবশেষে স্থানীয় কর্তৃপক্ষের অনুমতি সাপেক্ষে একটি নির্দিষ্ট নির্মাণকারী সংস্থার অধীনে শুরু হয় বহুল আকাঙ্ক্ষিত ভবনের কাজ। এবং এর মাধ্যমে ভবন নির্মাণের প্রথম ধাপ অর্থাৎ কন্ট্রাক্ট-পূর্ববর্তী সময়কালীন কাজের সমাপ্তি ঘটে এবং শুরু হয় কন্ট্রাক্ট-পরবর্তী সময়কালীন কাজ।
If you have any doubt , let me know.