কনক্রিটের স্লাম্প টেস্ট
কংক্রিট এর মধ্য ধারাবাহিকতা বা সমসত্ততা যাচাই এর জন্য এই পরীক্ষা করা হয়। এই টেস্টের মাধ্যমে কংক্রিটের প্রয়োজনীয় কর্যোপযোগিতা নিরূপণ করা হয়। সদ্য মিশ্রিত কংক্রিট এমন হওয়া উচিৎ যাতে করে সহজে নাড়াচাড়া এবং ফর্মার মধ্যে ঢালাই করা যায়। কংক্রিট মিশ্রণের এই গুনটিকে কার্যোপযোগীতা বলে। কনক্রিট মিশ্রণে পানির পরিমাণ বেশি হলে, কনক্রিট নরম আবার পানির পরিমাণ কম হলে কনক্রিট শক্ত হয়। নরম কনক্রিট ঢালাই করা সহজ এবং শক্ত কনক্রিট ঢালাই করা একটু কষ্ট সাধ্য। মিশ্রণে পানির পরিমাণ কম বা বেশি করে কার্যোপযোগীটা পরিবর্তন করা যায়। এই কার্যোপযোগীটা পরীক্ষা করার জন্য খুবই জনপ্রিয় পদ্ধতি হল স্লাম্প টেস্ট।
স্ল্যাম্প কৌণের আকৃতি: উপরের ব্যাস ১০০ মি:মি: x নিচের ব্যাস ২০০ মি:মি: x উচ্চতা ৩০০ মি:মি:
ছোট কুর্ণী
রডের আকার ৬০০ মি:মি: লম্বা x ১৬ মি:মি:
স্কেল
সাইজ: ৫০০ মি:মি: x ৫০০মি:মি:
টেস্ট প্রক্রিয়া
চোঙটিকে উপরে রেখে সদ্য মিশ্রিত কংক্রিট দ্বারা ভর্তি করা হয়।পুর চোঙ্গটি ৩টি লেয়ারে ভাগ করে কনর্কিট দিয়ে ভরতে হবে। রড দ্বারা প্রতি স্তরে ২৫ বার খুঁচাতে হবে। সম্পূর্ণ ভর্তি হয়ে যাওয়ার পর উপরি ভাগটা সমান করে কেটে নিতে হবে এবং তৎক্ষণাৎ চোঙটি উঠাতে হবে। দেখা যাবে কংক্রিট আস্তে আস্তে নিচের দিকে বসে যাচ্ছে। অর্থাৎ কংক্রিটের ক্ষমতার মান অনুসারে কংক্রিটের উচ্চতা কমে যাবে। যে পরিমাণ উচ্চতা কমে যাবে তাকে বলা হয় স্লাম্প।
If you have any doubt , let me know.