{ads}

সিমেন্ট এর সব হিসাব নিকাস All things about Cement

সিমেন্ট এর হিসাব নিকাস

নির্মাণসামগ্রীর মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হচ্ছে সিমেন্ট। সিমেন্টের মধ্যে কোন কোন উপাদান আছে তা ব্যবহারকারীর জানা খুবই জরুরী। বিভিন্ন ধরনের সিমেন্ট আছে বাজারে। একেক ধরনের সিমেন্ট ব্যবহারে একেক ধরনের সাবধানতা অবলম্বন করতে হয়। সিমেন্ট একটা সংযোগকারী পদার্থ (Binding Material)। কংক্রিট, মর্টার বা মসল্লা, প্লাষ্টার ইত্যাদি বিভিন্ন কাজে বালি এবং খোয়ার সংযোগ ঘটায় সিমেন্ট। সিমেন্ট ঠিক মত বাছাই করতে পারলে স্থাপনায় দীর্ঘস্থায়ী শক্তির নিশ্চয়তা পাওয়া যাবে। অতএব, ভাল নির্মাণ কাজের জন্য ভাল সিমেন্ট প্রয়োজন।



সিমেন্ট কেনার আগে কি যাচাই বাছাই করা উচিত?

সিমেন্ট কেনার আগে কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে যাচাই ও বাছাই করা উচিত। প্রথমত, নিকটস্থ অনুমোদিত বিক্রেতার থেকে সিমেন্ট কেনার প্রেরণ করা উচিত। এটি সিক্যুরিটি ও মানের নিশ্চিততা নিশ্চিত করে। দ্বিতীয়ত, সিমেন্টের মানসম্পন্নতা যাচাই করা উচিত। পরিমাপ, গুণমান, এবং ব্র্যান্ডের নাম বিবেচনা করা উচিত। এছাড়াও, অপরিচিত বা অননুমোদিত সোর্স থেকে সিমেন্ট কিনবেন না। একটি বিশ্বস্ত সোর্স থেকে কেনার মাধ্যমে আপনি সিমেন্টের মান এবং মানসম্পন্নতার নিশ্চিততা নিশ্চিত করতে পারবেন। চতুর্থত, সিমেন্টের মূল্য একটি গুরুত্বপূর্ণ বিবেচনা করতে হবে, তবে এটি মান এবং সুরক্ষার সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ হতে হবে। শেষে, সিমেন্ট নির্মাণ প্রক্রিয়ায় একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হিসাবে বিবেচনা করা উচিত, যা পুরো স্ট্রাকচার ও মেরামতের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। মূল স্থাপনা শেষ হলে সিমেন্ট বদলানো যায় না, এই কারণে সতর্ক থাকা গুরুত্বপূর্ণ। সঠিক সিমেন্ট নির্বাচনের মাধ্যমে আপনি স্থায়ী এবং দ্বিগুণ মানের নিশ্চিততা নিশ্চিত করতে পারবেন।ভাল সিমেন্টের গুণাগুণ:

  • দীর্ঘকালীন শক্তি এবং টেকসই নির্মাণ।
  • মেরামত ও রক্ষনাবেক্ষনে অপেক্ষাকৃত কম খরচ।
  • তাপের তারতম্য জনিত কারনে সৃষ্ট ফাটল প্রতিরোধ করে।
  • মাটি, পানি এবং বাতাসে বিদ্যমান ক্ষতিকারক রাসায়নিক পদার্থের আক্রমন প্রতিরোধ করে।
  • লোহাকে মরিচা ধরার হাত থেকে রক্ষা করে।
  • কম সংকুচিত হয়
  • সুন্দর ও সমৃণ ফিনিশিং
  • কংক্রিট মিশ্রনে কম পানির দরকার হয়।
  • পরিবশে বান্ধব।
  • ভমিকম্প প্রতিরোধক ডিজাইনের পক্ষে উপযোগী।
  • ক্ষতিকারক রাসায়নিক বিক্রিয়া প্রতিরোধী।

  1. পানি মিশিয়ে ব্লক তৈরি করুন: আপনি একটি নির্দিষ্ট পরিমাণের সিমেন্ট নিন এবং এর সাথে পানি মিশিয়ে ব্লক বানান। সিমেন্টের পরিমাণ ও পানির অনুপাত প্রয়োজনীয় মিশ্রণের মানের ওপর ভিত্তি করে ব্লকগুলি তৈরি করুন।

  2. ব্লকের পরীক্ষা: পরের দিন সকালে সিমেন্ট জমে গেলে আঙুল দিয়ে ব্লকে টিপুন। যদি ব্লকগুলি ভাঙ্গে না, অর্থাৎ দৃঢ়তা বজায় থাকে, তাহলে সিমেন্টের মান ভালো বলে মনে হবে। ভাঙ্গা ব্লক মানে খারাপ সিমেন্টের সঙ্গে পরিচিতির অন্যান্য চিহ্নগুলির সাথে অমিল করা যেতে পারে।

এই পরীক্ষাগুলি করে আপনি সিমেন্টের মান নির্ধারণ করতে পারেন। যদি ব্লকগুলি দৃঢ়তা বজায় থাকে এবং ভাঙ্গা না হয়, তাহলে সিমেন্ট মানে ভালো হবে।

বাংলাদেশ নিম্নলিখিত চার ধরনের সিমেন্ট পাওয়া যায়

১.সাধারণ পোর্টল্যান্ড সিমেন্ট

২.হোয়াইট সিমেন্ট

৩.পোর্টল্যান্ড প্রজ্জোলনা বা ফ্লাই অ্যাশ সিমেন্ট

৪.ব্লাষ্ট ফার্নেস স্ল্যাগ সিমেন্ট

বাংলাদেশ প্রায় ৯৮% সিমেন্ট তৈরি হয় মধ্যবর্তী পণ্য অর্থাৎ কিংকার থেকে।

কাঁচামাল ক্লিংকার অর্থাৎ প্রথম ধাপ যা তৈরি হয় বাংলাদেশের বাইরে।

ক্লিংকার সিমেন্ট অর্থাৎ দ্বিতীয় ধাপ যা বাংলাদেশে তৈরি হয়।

ক্লিংকারে চুন থাকে প্রায় শতকরা আটষট্টি ভাগ, এছাড়া বালি, লোহা, অ্যালুমিনিয়াম ইত্যাদি বিভিন্ন অনুপাতে থাকে।

ক্লিংকার  জিপসামের অনুপাতঃ

সিমেন্টে ক্লিংকার ও জিপসামের অনুপাত সিমেন্টের গুণমান এবং বৈশিষ্ট্য নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ। ক্লিংকার ও জিপসামের উপাদানের অনুপাত সিমেন্টের কার্যকারিতা, সামর্থ্য, এবং জীর্ণতা নির্ধারণ করে।

সিমেন্টে ক্লিংকারের অনুপাত পরিমাণের উপর ভিত্তি করে সিমেন্টের জমাট বাঁধার দক্ষতা এবং এর জীর্ণতার মান নির্ধারণ হয়। এটি সিমেন্টের হার্ডনেস এবং কম্প্রেসিভ স্ট্রেংথের মান প্রভাবিত করে। সাধারণত, সিমেন্টের ক্লিংকার অনুপাত অধিক হলে সিমেন্ট জমাট বাঁধতে দ্রুততার সাথে সাথে হার্ড হয়ে যায়।

জিপসামের অনুপাত নিশ্চিত করে সিমেন্ট জমাটের উপাদান মিশ্রণের কার্যকারিতা ও মান প্রভাবিত হয়। জিপসামের অধিক অনুপাত সিমেন্ট জমাটের অধিক জীর্ণতা এবং ভাঙ্গা স্থিতি সৃষ্টি করে। এটি সিমেন্টের বন্ধনে দুর্বলতা উৎপন্ন করতে পারে।

এই উপাদানগুলির উপাদানসমূহ এবং তাদের পরিমাণ সিমেন্টের গুণমান ও ব্যবহারের জন্য গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে।

বাংলাদেশে সাধারণত যে চার ধরনের সিমেন্ট বেশি ব্যবহৃত হয় সে সব সিমেন্টের উপাদানসমূহ, ষ্ট্রান্ডার্ড নাম্বার এবং ব্যবহার সংক্ষিপ্ততভাবে নিচে বর্ণনা করা হলো:

সাধারণ পোর্টল্যান্ড সিমেন্ট

সিমেন্ট ইতিহাসের প্রথম থেকেই এক প্রকার সিমেন্ট তেরি হয়ে আসছে এবং কিছুদিন আগে পর্যন্ত এই প্রকার সিমেন্টই সমস্ত নির্মাণ কাজে ব্যবহার হতো।

উপাদান

ক্লিংকার >=৯৭% এবং জিপসাম =<০৩%

ষ্ট্যান্ডার্ড

ASTM (আমেরিকান সোসাইট ফর টেষ্টিং এন্ড মেটেরিয়ালস্) : C ১৫০-০২

BDS (বাংলাদেশ ষ্ট্যান্ডার্ড) : ২৩২-১৯৯৩

EN (ইউরোপিয়ান নর্ম) : ১৯৭-১:২০০০ CEMI

ব্যবহার

সবধরনের কাজের জন্য এই সিমেন্ট ব্যবহার করা যায়। কিছুদিন আগ পর্যন্ত এই ধরনের সিমেন্ট ছিল আমাদের দেশের একমাত্র সিমেন্ট। কিন্তু বর্তমানে বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো আমাদের দেশেও কাজের ধরন অনুযায়ী সিমেন্ট ব্যবহৃত হয়। সাধারণত ভারী নির্মাণ কাজে এখন আর সাধারণ পোর্টল্যান্ড সিমেন্ট ব্যবহৃত হয় না। কারণ এই সিমেন্ট পানির সঙ্গে মিশালে প্রচুর তাপ উৎপন্ন হয় যা ভারি নির্মাণ কাজের জন্য ক্ষতিকর। কিন্তু মাঝারি আকৃতির নির্মাণ কাজের জন্য এই সিমেন্ট অত্যন্ত উপযোগী।

পোর্টল্যান্ড প্রজ্জোলনা বা ফ্লাই অ্যাশ সিমেন্ট

সিমেন্টের প্রধান উপকরণ হলো ক্লিংকার আর এই ক্লিংকারের প্রধান উপকরণ চুনাপাথর। চুনাপাথর পানির সাথে বিক্রিয়া করে প্রচুর তাপ উৎপন্ন করে যা ভারি এবং বিশাল আয়তনের নির্মাণ কাজের জন্য ক্ষতিকর। তাপ বেশি উৎপন্ন হলে ঢালাইয়ের পর স্থাপনাতে চুলের মতো সূক্ষ্ম ফাটল দেখা দেয়, যা Hard crack নামে পরিচিত। বর্তমানে এই সমস্যা দূর করার জন্য সিমেন্টে ক্লিংকারে পরিমাণ কমিয়ে তার জায়গায় কয়লা চালিত বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রে বাই প্রোডাক্ট হিসাবে যে পোড়ানো কয়লা পাওয়া যায় তা ব্যবহার করা হয়। এই পোড়ানো কয়লা ফ্লাই অ্যাশ নামে পরিচিত। ফ্লাই অ্যাশের কণা ক্লিংকারের কণা বিকল্প হিসাবে এই ধরণের সিমেন্ট ফ্লাই অ্যাশ ব্যবহার করা হয় তাই এই সিমেন্টকে পোর্টল্যান্ড প্রজ্জোলনা বা ফ্লাই অ্যাশ সিমেন্ট বলে।

বিশেষ বৈশিষ্ট্য

ফ্লাই অ্যাশ সিমেন্ট ঢালাইয়ের সময় খুব কম তাপ উৎপাদন করে, ফলে ঢালাই শক্ত হওয়ার পরে hair crack এর প্রবণতা কমে যায়। এ ছাড়া এই ধরনের সিমেন্ট সাধারণ পোর্টল্যান্ড সিমেন্ট অপেক্ষা বেশি শক্তি প্রদান করে। তবে এর প্রাথমিক শক্তি অর্জনের হার সাধারন পোর্টল্যান্ড সিমেন্ট অপেক্ষা কম থাকে।

উপাদান

ক্লিংকার = ৮৪-৮৬%, ফ্লাই অ্যাশ=১১-১৩% এবং জিপসাম =<০৩%

ষ্ট্যান্ডার্ড

ASTM (আমেরিকান সোসাইট ফর টেষ্টিং এন্ড মেটেরিয়ালস্) : Type IP ৫৯৫-০২

BDS-EN (বাংলাদেশ ষ্ট্যান্ডার্ড-ইউরোপিয়ান নর্ম) : EN১৯৭-১:২০০০ CEMI II / (I-M) ৪২.৫N

ব্যবহার

ভারি কন্সট্রাকশন কাজে যেখানে একসাথে প্রচুর সিমেন্ট ব্যবহৃত হয় এবং প্রচুর তাপ উৎপন্ন হবার সম্ভাবনা থাকে। লোনা পানির আবহাওয়াতে, মাটির নিচের কাজে, পানির নিচে বা পানির সংস্পর্শে থাকে এমন স্থাপনাতে।

উল্লেখ্য যে যুক্তরাষ্ট্রে হেবিটি উঅগ যা বিশ্বের বৃহত্তম উঅগ এই প্রকার সিমেন্টের তৈরি।

ব্লাষ্ট ফার্মেস স্লাগ সিমেন্ট

বর্তমান সময়ে সিমেন্ট ক্লিংকারের অনুপাত কমিয়ে তার বদলে বিভিন্ন ধরনের সমধর্মী উপাদান মেশানো হয়। সেরূপ একটি সমধর্মী উপাদন হলো ‘স্লাগ। ইস্পাত কারখানা থেকে উৎপাদিত এক প্রকার বাই প্রোডাক্ট হচ্ছে স্লাগ। এই ব্লাষ্ট ফার্নেস স্লাগ সিমেন্ট এবং কার্যকারিতা OPC সিমেন্টের মতই বরং এটি কম তাপ উৎপন্ন করে এবং লবণাক্ত আবহাওয়াতে এই সিমেন্ট সাধারণ পোর্টল্যান্ড সিমেন্ট থেকে বেশী কার্যকরী। এই সিমেন্ট স্থাপনাকে বাতাসের সালফারের আক্রমণ থেকে রক্ষা করে। সাধারণ পোর্টল্যান্ড সিমেন্ট এর তুলনায় যদিও প্রথম দিকে এর শক্তি অর্জনের হার কম কিন্তু পরবর্তীতে স্লাগ সিমেন্ট OPC সিমেন্ট থেকে প্রায় দেড় গুণ শক্তি বেশি অর্জন করে থাকে।

উপাদান

ক্লিংকার =৭০-৭৫%, ব্লাষ্ট ফার্নেস স্লাগ =২০-২৫% এবং জিপসাম =<০৫%

ষ্ট্যান্ডার্ড

ASTM (আমেরিকান সোসাইট ফর টেষ্টিং এন্ড মেটেরিয়ালস্) : ঈ ৫৯৫-০২

BDS-EN (বাংলাদেশ ষ্ট্যান্ডার্ড-ইউরোপিয়ান নর্ম) : EN১৯৭-১:২০০০ CEM II /ই-গ (ঝ-খ) ৪২.৫ঘ

ব্যবহার

ভারি কন্সট্রাকশন কাজে যেখানে একসাথে প্রচুর সিমেন্ট ব্যবহৃত হয় এবং প্রচুর তাপ উৎপন্ন হবার সম্ভবনা থকে। লোনা পানির আবহাওয়াতে, মাটির নিচের কাজে, পানির নিচে বা পানির সংস্পর্শে থাকে এমন স্থাপনাতে।

হোয়াইট সিমেন্ট

এ ধরনের সিমেন্ট সিমেন্ট শুধু সৌন্দর্য বর্ধনের কাজে ব্যবহৃত হয়। যেমন ফ্লোরের মোজাইকের কাজ বা স্থাপনার বাহিরের দিকের fare face finishing এর জন্য এই সিমেন্ট ব্যবহৃত হয়। এই সিমেন্টের মূল উপাদান ক্লিংকার কিন্তু এ ক্লিংকার সাধারন ক্লিংকার থেকে অনেক গুণ বেশি পরিশোধিত। ফলে এর দামও সাধারণ সিমেন্টের চেয়ে  থেকে ৪ গুণ বেশি।

ষ্ট্যান্ডার্ড

ASTM (আমেরিকান সোসাইট ফর টেষ্টিং এন্ড মেটেরিয়ালস্) : C ১৫০-৯২

BS (বৃটিশ ষ্ট্যান্ডার্ড) : ১২:১৯৮৯

ব্যবহার

মোজাইকের কাজে ও বাহিরের দেয়ালের কাজে।

নিম্নলিখিতবিষয়গুলির জন্য সিমেন্ট চুন অপেক্ষা অধিক ব্যবহার উপযোগী এবং উৎকৃষ্ট

  • ভিজা এবং পানির নিচে নির্মাণ কাজ তৈরিতে।
  • যেখানে নির্মাণ কাজে স্থায়ীত্ব এবং অধিক শক্তির প্রয়োজন
  • যেখানে মর্টার বা প্লাষ্টার তাড়াতাড়ি জমান বাঁধার দরকার হয়।
  • পানিরোধক নির্মাণ কাজে।

সিমেন্ট পরীক্ষা

  • মিহিত্ব পরীক্ষা।
  • জমাট বাঁধার সময় পরীক্ষা (প্রাথমিক ও শেষ)।
  • সাউন্ডনেস্ পরীক্ষা।
  • রাসায়নিক পদার্থের উপস্থিতি পরীক্ষা।
  • কমপ্রেসিভ ও টেনসাইল ষ্ট্রেংন্থ পরীক্ষা।

সিমেন্ট মজুদ রাখার নিয়মাবলি

  • শুল্ক বায়ু চলাচল করে এমন জায়গায় সিমেন্ট রাখতে হবে।
  • দেয়ালের ঠেস দিয়ে রাখা যাবে না।
  • পানি সংস্পর্শে আসতে পারে এমন জায়গায় রাখা যাবে না।
  • ব্যাগগুলো ধাপে ধাপে রাখতে হবে।
  • একটি ব্যাগের উপর আরেকটি এভাবে সর্বোচ্চ দশটি ব্যাগ রাখা যাবে।
  • দুই লাইনের মাঝে ফাঁকা জায়গা থাকতে হবে।
  • ষ্টোর করার জায়গায় নিচে কাঠের গুড়া (ভুসি) ছিটিয়ে দিয়ে তার উপর কাঠের বাটাম রেখে সিমেন্ট রাখতে হবে।
  • মনে রাখতে হবে পানি সিমেন্টের সবচেয়ে বড় শত্রু। অতএব, সাবধান থাকতে হবে যাতে ঘরের দেয়াল বা মেঝে কিংবা সানশেড দিয়ে পানির ঝাপটা আসতে না পারে।
  • ঠেলা গাড়িতে সিমেন্ট সরবরাহের সময় লক্ষ্য রাখতে হবে যাতে হঠাৎ বৃষ্টি এলেও সিমেন্ট ভিজে না যায়। এজন্য বর্ষাকালে আকাশ পরিষ্কার থাকলেও ত্রিপল অথবা পলিথিন দিয়ে সিমেন্ট ঢেকে নিয়ে যেতে হবে।

সিমেন্ট সংক্রান্ত বিভিন্ন অভিযোগ  তার উত্তর

১) গুটি ধরা

২) জমাট বাঁধতে দেরি হওয়া

৩) হাতপা ক্ষয়ে যাওয়া

৪) সিমেন্টের রং

৫) ওজন কম হওয়া

৬)  ব্যাগ ফেটে যাওয়া

৭) মজুদ সংক্রান্ত সমস্যা

নিচে সমস্যাগুলোর ব্যাখ্যা করা হল

প্রথমেই গুটি ধরা সংক্রান্ত সমস্যা সম্বন্ধে কথা বলা যাক। মূলত সিমেন্টের ব্যাগ এয়ার টাইট বা বাতাস অপরিবাহী নয় এবং সিমেন্ট বাতাস থেকেও জলীয় বাষ্প সংগ্রহ করে। অতএব যদি সঠিকভাবে সিমেন্ট মজুদ করা না যায় তবে তাতে গুটি ধরতে পারে। সাধারণত দুই ধরনের দানা দেখা যায়। এক ধরনের গুটিকে হাতের আঙ্গুল দিয়ে চাপ দিলে ভেঙ্গে যায়। সে ধরনের গুটি তৈরি হয় মূলত চাপের কারণে। এক ব্যাগ সিমেন্টের উপর যদি অনেকগুলো ব্যাগ রাখা হয় তবে কিছুদিন পর নিচের দিকের ব্যাগগুলোতে এই ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে। তবে তা সিমেন্টে গুণগত মানের কোন পরিবর্তন করে না।

দ্বিতীয় ধরনের গুটি হাতের চাপে তো ভাঙ্গে না, হাতুড়ি দিয়ে ভাঙ্গার চেষ্টা করা হলেও সহজে ভাঙ্গে না। এই ধরনের গুটি তৈরি হয় সিমেন্ট পানির সংস্পর্শে এল। যতই বলা হোক যে সিমেন্ট কোনভাবেই পানি যায়নি তবুও এটা ১০০% নিশ্চিত যে পানি ছাড়া অন্য কোনভাবে এই ধরনের গুটি তৈরি হতে পারেনা। যদি ১ ব্যাগ সিমেন্টের ২০% এর বেশি দানাদার না হয়ে, তবে বাকি ৮০% সিমেন্ট স্বাভাবিকভাবে ব্যবহার করা যাবে। তবে এর চেয়ে বেশি দানাদার মিক্সিং অনুপাত বাড়িয়ে ঢালাই করতে হবে। সাধারণত পেপার ব্যাগের মুখের দিকে পাথর পাওয়া যায় আর পলি ব্যাগে পাওয়া যায় ভিতরের দিকে।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.