তাই যখন আমার মাটির প্রফাইল জানতে পারি তখন মাটির একটিভিটি গুলি জানতে পারি । আর যখন মাটির আচরণ জানতে পারি তখন তার ভবিষ্যতে গতিবিধি ও রাসায়নিক বিক্রিয়া গুলি অনুযায়ী কোন সিদ্ধান্ত নিতে সুবিধা হয় ।
যদি আমারা মাটির ভারবহন ক্ষমতা না জানি তবে যে ভবন তৈরি করবেন তার ভর মাটির ভর তুলনায় বেশি হলে কি হবে ? কত তলা ভবন করতে পারবেন সেটা তো বিবেচনার আনতে হবে । যদি ভূমিকেম্প প্রবণ এলাকায় ভুমিকা ভবন অনুযায়ী উপযুক্ত করতে হবে । যখন একটা ভবন নির্মাণ করা হয় তার ডিউরিবিলিটি আবাহাওয়ার বিরূপ প্রতিক্রিয়া কত দিন থাকতে পারে তা নির্ণয় করাটাই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে । মনে রাখতে হবে ইঞ্জিনিয়ারা সৃষ্টিকর্তা না , যে তার রব কোন কিছু ধংশ করতে চাইলে তার হাত থেকে বাঁচাতে পারবে , দেখবেন ভালো হাসপাতাল গুলিতে মানুষ মারা যায় । আশা করি বুঝতে পারছেন ।
একজন ইঞ্জিনিয়ার ই বলতে পারে যে ভূমিতে কি কি পরীক্ষা করতে হবে । মাটির কণা গুলির ভিন্ন দিক পরীক্ষা করা হয় । যেমন আপেক্ষিক গুরুত্ব, কনসেটেনসি , ভার , এস পিটি , কনসোলেডেশন, শেয়ার , ইলেকট্রিক কোরোসোভিটি , গন্ধ, সেটেলমেন্ট , গভীরে পানির স্থর , পারমিএবিলিটি ইত্যাদি।
এর মাধ্যমে জানতে পারবেন.. কনার অকার, মাটির মিশ্রণ , অনুমদিত ভার , ভার , ইন্টারনরল ফ্রিকশন, ডেটরিম্টাল ইফেক্ট, ইত্যাদি ।
একজন জিওটেকনিক্াল ইঞ্জিনিয়ার ভবন নির্মাণ এর পূর্বেে সব থেকে বড় ভূমিকা পালন করেন , যদিও আমরা সাধারণত দেখতে পাই স্ট্রাকচার ইঞ্জিনিয়ার একাই কাজ গুলি করে ফেলেন , ।
মনে রাখবেন "আপনি যখন একটা ভবন নির্মাণ করছেন তখন ভবন কে মাটির সাথে বিয়ে দিচ্ছেন । সংসার কত দিন চলবে সেটা দুজনের উপর ই নির্ভর করে ।"
আপনার অতি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন এর জন্য ধন্যবাদ, এই প্রশ্নের উত্তর অল্প সময়ে দেওয়া সম্ভব না , আপু ।আমি যে সামান্য টুকু জানি এগুলি তার এক অংশও না ।
সুত্র ২:ভবন নির্মাণের পূর্বে 'মাটির শক্তি' ও 'ভূগর্ভস্থ পানির স্তর' জানা জরুরী। একজন মাটি-প্রকৌশলী এই দুইটা বিষয় থেকে ফাউন্ডেশন ডিজাইন করেন।
ভবন যদি খুব বেশি জটিল না হয়, তাহলে 'স্ট্যান্ডার্ড পেনিট্রেশন টেস্ট' বা 'এসপিটি' করলেই চলে। এসপিটি সংখ্যা যত বেশি, মাটি তত ভাল। এই টেস্টে পানির গভীরতাও মাপা যায়। এরপর মাটির নমুনাগুলো পরীক্ষাগারে এনে 'এএসটিএম' গ্রেইন-সাইজ টেস্টিং করতে হয়। কাদামাটি বা ক্লে এর ক্ষেত্রে আটারবার্গ টেস্ট ও করতে হয়।
প্রজেক্ট খুব জটিল হলে আরও টেস্ট করতে হয় - যেমন, সিসমিক টেস্ট, কনসোলিডেশন টেস্ট।
সুত্র ৩:ভবনের সমস্ত ভার বহন করে মাটি। ভবনের ফ্রেম ভবনের নিজেস্ব ভার,আরোপিত ভার এবং পারিপার্শ্বিক অন্যান্য ভার একত্র করে মাটিতে পাঠায়। মাটি সেই ভার সহ্য করার মত সামর্থ রাখলে ভবন দাঁড়িয়ে থাকে।
ভবনের সর্বপ্রকার ভার সহ্য করার ক্ষমতা মাটিতে আছে কি না যাচাই করতে নির্মানের পূর্বে মাটি পরিক্ষা করা হয়।
মাটি পরিক্ষার জন্য "Standard Penetration Test (SPT)" করা হয়। এতে মাটির গভীরতা অনুসারে বিভিন্ন স্তরের অবস্থা যাচাই করা যায়। স্তরের অবস্থা বিবেচনায় সামর্থ বুঝে ভিত্তি ডিজাইন করা হয়।
এছাড়াও "Plate Load Test (PLT)"-এ বিভিন্ন অনুপাতে ক্রমাগত লোড বর্ধিত করে তা মাটিতে ড্রাইভ করে মাটির সামর্থ যাচাই করা হয়।
If you have any doubt , let me know.