{ads}

বীম সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন-Know about Beam

বীম কাকে বলে? কত প্রকার ও কী কী? What is beam? types of Beam-


বীম এক প্রকার আনুভূমিক কাঠামো, যা এক বা একাধিক খুটি,কলাম,পিলার,দেওয়াল ইত্যাদি উপর অবস্থান করে এবং এর আরোপিত লোডকে সাপোর্ট এ স্থানান্তরিত করে।
বীম ৫ প্রকার।যথা-

i)সাধারণভাবে স্থাপিত বীম
ii)ক্যান্টিলিভার বীম
iii)ঝুলন্ত বীম
iv)আবদ্ধ বীম
v)ধারাবাহিক বীম

i)সাধারণভাবে স্থাপিত বীম(Simply Supported beam):

যে সকল বীমের উভয় প্রান্ত মুক্ত অবস্থায় সাপোর্টের উপর অবস্থান করে লোড বহন করে তাকে সাধারণভাবে স্থাপিত বীম(Simply Supported beam)বলে।

ii)ক্যান্টিলিভার বীম(Cantilever beam):

যে সকল বীমের একপ্রান্ত দৃঢ় ভাবে আবদ্ধ এবং অন্য প্রান্ত মুক্ত অবস্থায় থেকে লোড বহন করে তাকে ক্যান্টিলিভার বীম(Cantilever beam)বলে।

iii) ঝুলন্ত_বীম(Over hanging beam):

যে সকল বীমের এক প্রান্ত বা উভয় প্রান্তই সাপোর্টের বাহিরে বাড়ানো অবস্থায় লোড বহন করে।তাকে ঝুলন্ত বীম(Over hanging beam)বলে।

iv) আবদ্ধ_বীম(Fixed beam):

যে সকল বীমের উভয় প্রান্তই সাপোর্টের সাথে দৃঢ়ভাবে আবদ্ধ থাকা অবস্থায় লোড বহন করে তাকে আবদ্ধ বীম(Fixed beam)বলে।

v) ধারাবাহিক_বীম(Continuous beam):

যেসকল বীম একাধিক সাপোর্টের উপর অবস্থান করে এর উপর আরোপিত লোড বহন করে থাকে ধারাবাহিক বীম(Continuous beam)বলে।

১. বীমে কী কী ধরননের লোড কাজ করে?

উ: ৩ ধরনের লোড কাজ করে।যথা-
i)কেন্দ্রিভূত লোড
ii)সমভাবে বিস্তৃত লোড
iii)অসমভাবে বিস্তৃত লোড

২.বীমের উপর কী কী লোড ক্রিয়া করে?

উ: বীমের উপর ৩ ধরনের লোড ক্রিয়া করে।যথা-
i)নিশ্চল ভর
ii)সচল ভর
iii)পারিপার্শ্বিক ভর

৩.বীম কি ধরনের ফোর্স ফেল করে?

উ: টেনশন ফোর্স।

৪. বীমে স্টিরাপ কেন ব্যবহার করা হয়?

উত্তর: শিয়ার ফোর্স প্রতিরোধে এবং ডায়াগোনাল টেনশনকে চেক দেওয়ার জন্য ।

৫.বীমের চাপ এলাকা (Compression zone) ও টান এলাকা (Tension zone)কাকে বলে?

উ: বীমের নিরপেক্ষ অক্ষ থেকে সর্ব উপরি তল পর্যন্ত এলাকা কে চাপ এলাকা বা Compression zone বলে।

নিরপেক্ষ অক্ষ থেকে সর্বনিম্ন তল পর্যন্ত এলাকাকে টান এলাকা বা Tension zone বলে।

৬.স্টিরাপ প্রয়োগ করেও কখন বীমে ব্যর্থ রোধ করা যায় না?

উ:কোন R.C.C বীমে সৃষ্ট শিয়ার পীড়নের মান কংক্রিট ও স্টীলের অনুমোদনযোগ্য শিয়ার পীড়নের মানের চেয়ে বেশি হলে।

৭. লোডের কারনে R.C.C বীম কিভাবে ব্যর্থ হতে পারে?


উ:৩ ভাবে ব্যর্থ হতে পারে।যথা-

i)প্রসারণ স্টীলে ব্যর্থ
ii)সংকোচন কংক্রিটে ব্যর্থ
iii)প্রসারন স্টিল ও সংকোচন কংক্রিট একই সাথে ব্যর্থ

৮. ক্যান্টিলিভার বীমের প্রধান রড কোথায় ব্যবহার করা হয়?

উ: মোমেন্টের মান সবসময় ঋণাত্মক হয় বলে প্রধান রড বিমের উপরিভাগে দেয়া হয়।

৯. টি-বীম কাকে বলে?

উ: বীম এবং স্ল্যাব একত্রে ঢালাই করলে এবং বীম ও স্ল্যাব সম্মিলিত অংশ দেখতে T এর মত হয়,একে টি-বীম বলে।

১০.বীমে সর্বনিম্ন কভারিং কত ধরা হয়?

উ: ১.৫"।

১১. বীম তদন্ত কেন করা হয়?

উ: বীমের প্রকৃত পীড়নদ্বয় অর্থাৎ fc ও fs এর মান নির্নয় করে বীম আরোপিত লোডে নিরাপদ কিনা যাচাই করার জন্য বীম তদন্ত করা হয়।

১২. বীমে ব্যবহৃত রডের ক্রাংক করার পদ্ধতিটা কি?

উ: সাধারণভাবে স্থাপিত উভয় প্রান্তে সাপোর্ট থেকে L/7 দুরত্বে এবং আংশিক অবিচ্ছিন্ন বীমের অবিচ্ছিন্ন প্রান্তে এবং ধারাবাহিক বীমের উভয় প্রান্তে সাপোর্ট থেকে L/5 দুরত্বে ক্র্যাংক করা হয়।

১৩.বীমের শাটারিং এ খাড়া দিক ও তলার ঠেকনা কতদিন পর খোলা হয়?

উ: খাড়া দিক ১-২ দিন পর এবং ঠেকনা ৭ দিন পর।

১৪.বীমের আর সি সি কাজে কী হারে রড ব্যবহার করা হয়?

উ: ১%-২% হারে।

১৫.বীমে বা স্ল্যাবে ক্র্যাংক বার কেন ব্যবহার করা হয়?

উ : ঋণাত্মক বেন্ডিং মোমেন্ট ও সাপোর্টের কাছাকাছি সর্বাধিক শিয়ার ফোর্সকে প্রতিরোধের জন্য ।

১৬.ঢালাই এর আগে কি কি বিষয় খেয়াল রাখতে হবে?

উ: ঢালাইয়ের আগে ফর্মওয়ার্ক, রডের সঠিক অবস্থান,স্পেসিংঅর্থাৎ ড্রইং মোতাবেক হয়েছে কিনা,ক্লিয়ার কভার চেক, বেশি উচু থেকে কংক্রিট না ঢালা,বৃষ্টির দিন হলে পলিথিনের ব্যবস্থা রাখা,ভালোভাবে ভাইব্রেটর করা,সর্বোপরি ঢালাই পর্যন্ত সাথে থাকা।

১৭.বীমে বা স্ল্যাবের এক্সটা টপ কেন ব্যবহার করা হয়?

উত্তর : লোডের তীব্রতা হ্রাস করার জন্য ।

১৮.কনসিল বীম কি ?


উত্তর : কনসীল বীম এর অন্য একটি নাম হলো হিডেন বীম। স্ল্যাবের সমান পুরুত্বের বীমকে কনসীল বীম বলা হয়ে থাকে।

#বিস্তারিত :

মুলত ফ্লাট স্ল্যাবে কলাম বরাবর যেভাবে স্ট্রীপ চিন্তা করে অতিরিক্ত রিইনফোর্সমেন্ট দেয়া হয়, এমন চিন্তা থেকেই এই কনসীল বীমের ধারণা এসেছে। তবে ইঞ্জিনিয়ারিং এ এই কনসীল বীম হিসাবে আসলে তেমন কিছু নেই।

200 মিমি এর নিচের পুরত্বের কোন ছাদে এই জাতীয় বীম ব্যবহার করা উচিত না। তবে সবসময়ই এই কনসীল বীম পরিহার করে চলা উচিত।

যদি করতেও হয় তাহলে শুধু বীম নয়, পুরো স্ল্যাব সহ মডেলটি এনালাইসিস করতে হবে।

কনসীল বীমের জন্য কলামের পাঞ্চিং শেয়ার অবশ্যই চেক করে নিতে হবে।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.