{ads}

কলাম কি? কত প্রকার?-Deatils about Column

কলাম কি? কত প্রকার ও কি কি?


উঃ কোন আর.সি সি কাঠামোতে খাড়া ও উলম্ব লোড বহন করার জন্য নির্মান করা হয় তাকে কলাম বলে।
কলাম ২ প্রকার।যথা-

১.শর্ট কলাম
২.লং কলাম



রিইনফোর্সমেন্টের উপর ভিত্তি কলাম ৪ প্রকার।যথা-
I).টাইড কলামI
ii).স্পাইরাল কলাম
iii).কম্পোজিট কলাম
iv).কম্বিনেশন কলাম


২. কলাম কি ধরনের ফোর্স ফেল করে?

উঃ কম্প্রেশন ফোর্স।

৩.বৃত্তাকার ও টাইড কলামে সর্বনিম্ন কত মি.মি রড ব্যবহার করা হয় এবং রডের ন্যূনতম সংখ্যা কয়টি?

উঃ উভয় ক্ষেত্রে ১৬ মিলিমিটার ব্যাসের রড এবং বৃত্তাকার কলামে সর্বনিম্ন রডের সংখ্যা ৬ টি ও টাইড কলামে ৪ টি।

৪.ACI কোড অনুযায়ী আয়কার কলামের ন্যূনতম পার্শ্ব মাপ ও বৃত্তাকার কলামের ন্যূনতম ব্যাস কত ইঞ্চির কম হবে না?

উ: আয়কার কলাম পার্শ্ব মাপ ৮" ও বৃত্তাকার কলাম ১০" ব্যাসের কম হবে না।

৫.স্পাইরাল কলামের ভারবহন ক্ষমতা টাইড কলামের চেয়ে কত % বেশি?

উ: ১৫%।

৬.কলামের আর সি সি কাজে কী হারে রড ব্যবহার করা হয়?

উ: ১% থেকে ৫%।

৭.কলামের ক্লিয়ার কভার সাধারনত কত ধরা হয়?

উ: ১.৫" (গ্রেড বীমের উপরের ক্ষেত্রে)।
৩" গ্রেড বীমের নিচে)।

৮.কলামে সাধারণত কত অনুপাত ধরা হয়?

উ: ১:১.৫:৩ বা ১:২:৪

৯.কলামে টাইরড কেন ব্যবহার করা হয়?

উত্তর: কলামে খাড়া রড গুলোকে যথাস্থানে ধরে রাখার জন্য এবং রডগুলোকে বাকা হওয়ার হাত থেকে রক্ষা করার জন্য।

১০.কলাম ঢালাই করা হলে কতদিন পর্যন্ত কিউরিং করা হয়?

উ: ২১-২৮ দিন।

১১.কলামের কিকার বলতে কি বুঝায়?

উ: কলামের প্লেসমেন্ট বা এলাইমেন্ট ঠিক রাখার জন্য ৩"-৬" ছোট কলাম ঢালাই কে কিকার বলে।

১২. কলাম ঢালাই এর কার্যপ্রণালী ও আপনার করণীয় গুলো কি কি?

উ: I). কলামের ক্ষেত্রে প্রথম আসে কলাম কিকার। গ্রীড লাইনের সুতার সাথে কলামের প্লেসমেন্ট ঠিক করে কিকার ঢালাই দিয়ে নিবেন। কিকারের ঢালাই অবশ্যই নিচ্ছিদ্র ও টাইট হতে হবে। পারলে কিকারের অংশের ভিতরে কলামে একটি রিং পরিয়ে ঢালাই দিবেন। কিকারের সাইজ মূল কলামের সাইজ হতে উভয় দিকে 6 মিঃমিঃ কম হবে।

I). পরের দিন কিকারের সাটার খুলে ফেলতে পারেন। তবে কিউরিংটা মিস করবেন না।
iii). এইবার রড মিস্ত্রিকে ডেকে কলামের মেইন রড ও রিং গুলো বাধতে নির্দেশ দিন। তাকে ড্রইং মোতাবেক রড বাধতে সহায়তা করুন
iv). সাটার সেট করার আগে কিকারের ঢালাইয়ের আউট বরাবর চারপার্শ্বে ফোম লাগিয়ে নিন ডাকু গাম দিয়ে।
v). সাটার সেট করার আগেই আপনি কলামের রড, রিং, ল্যাপিং প্রভৃতি চেক করে নিবেন।
vi). মিস্ত্রিরা সাটার সেট করার পর আপনাকে ডাকবে কলামের উল্লম্বতা চেক করার জন্য। আপনি ওলন কিংবা ইটের আধলা কিংবা ব্লক ঝুলিয়ে দিয়ে উল্লম্বতা চেক করবেন। সর্বচ্চ দুই মিঃমিঃ পর্যন্ত ছাড় দিতে পারেন
vii) এরপর কলামের টানা ও ঠেলা গুলো মজবুত আছে কিনা দেখে নিবেন। সাথে কলামের সাটার লিকেজ মুক্ত আছে কিনা দেখবেন। কলামের কভারিং ঠিক করে নিবেন।
viii). ঢালাই দেওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিবেন। আগে থেকেই হিসাব করে নিবেন কতটুকু ঢালাই লাগবে।
ix)ঢালাই টানার লেবারেরর গতির সাথে সম্পর্ক রেখে ঢালাই তৈরি করতে হবে। ঢালাই ঢালার আগে কলামের ভিতরে পানি স্প্রে করতে হবে। এবং কিছুক্ষন পরেই সিমেন্ট গ্রাউটিং ঢেলে দিতে হবে।
xi). ঢালাই ঢালতে থাকবে আর পর্যায়ক্রমে ভাইব্রেটর করতে থাকবে। তবে শুধুমাত্র ঢালাই সমান হওয়া ও বাতাসের বুদবুদ বের হয়ে আসা পর্যন্তই ভাইব্রেটর করা উচিৎ। বেশিক্ষন ধরে রাখলে খোয়া নীচে চলে যাবে আর বালি, সিমেন্ট উপরে চলে আসবে।
xii). একই ভাবে সমস্ত কলাম ঢালাই করবেন। ঢালাইয়ের সাথে সাথেই কলাম সোজা আছে কিনা চোখের নজরে ও ওলন দিয়ে দেখে নিবেন। ঢালাইয়ের পর কভারিং আবার দেখবেন।
xiii). 85 লোড তৈরি করার পর অবশিষ্ঠ কলামের পরিমাপ নিয়ে, আর কতলোড মসলা দরকার সেইটা আবার বলে দিবেন। তাহলে দেখবেন কোন অপচয় হবেনা।
xiv). পরের দিন সাটার খুলবেন না। 1 দিন সময় দিন শক্ত হতে। তবে সকালেই কলামের মাথার উপর পানির পাইপ দিয়ে পানি দিবেন।
xv). তৃতীয় দিন সাটার খোলার পরে যদি দেখেন পরিস্কার একটা সারফেস হয়েছে। তখন আপনার নিজের কাছেই ভালো লাগবে। আমারোও ভালো লাগতো।

xvi). এরপর কলামের গায়ে চট পেচিয়ে কিউরিং করুন।

১৩.ঢালাই এর আগে কি কি বিষয় খেয়াল রাখতে হবে?

উ: ১. কংক্রিট স্থাপনার পূর্বে ফর্মওয়ার্ক শক্ত এবং সঠিক অবস্থানে আছে কিনা তা পরীক্ষা করে দেখতে হবে।

২. কংক্রিট স্থাপন করার পূর্বে ফর্মওয়ার্ক ভালোভাবে তৈলাক্ত করতে হবে।
৩. কংক্রিট স্থাপনার সময় ফর্মওয়ার্ক আলোড়িত বা নড়াচড়া করা চলবে না।
৪. অবিরামভাবে কংক্রিট স্থাপন করতে হবে।অর্থাৎ অনিয়মিতভাবে কংক্রিট স্থাপন করা যাবে না।
৫. ১ মিটারের বেশি উচু স্থান থেকে কংক্রিট ফেলা উচিত নয়।এতে কংক্রিটের উপাদানসমূহের সেগ্রিগেশন ঘটে।
৬. কংক্রিট খাড়াভাবে ফেলা যাবে না।
৭. প্রতিস্তরে ১৫ সে.মি হতে ৩০ সে.মি পুরুত্বের কংক্রিট স্থাপন করতে হবে।
৮. বৃষ্টির মধ্যে কংক্রিট স্থাপন করা উচিত নয়।
৯. হাটা অবস্থায় বা দাঁড়িয়ে কংংক্রিট ঢালতে নেই।
১০. যতদূর সম্ভব খুব নিকট থেকে কংক্রিট ফেলতে হবে।
১১. প্রাথমিক জমাট বাধা সময় আরম্ভ হওয়ার পূর্বেই কংক্রিট স্থাপন এবং কম্পাকসন করা উচিত।
১২. কম্পাকসন করার সময় যাতে প্রয়োজনের অতিরিক্ত কংক্রিটকে পুনঃস্থাপন করতে না হয়,সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।
১৩.রডের স্প্যাসিং,রড সঠিক অবস্থানে থাকা অর্থাৎ ড্রইং অনুযায়ী হয়েছে কিনা দেখতে হবে।
সর্বপরি,ঢালাই শেষ না হওয়া পর্যন্ত সরে পড়বেন না।

১৪. কলামে ল্যাপিং কি হারে দিতে হবে?


উ: কলামের উপরে ও নিচে অর্থাৎ L/4 অংশে ২৫%, মাঝখানে অর্থৎ L/2 অংশে ৫০% হারে ল্যাপিং দিতে হবে।
১৫. কলামের ফুটিং ও কলাম এই দুটির অবস্থান কি রকম হবে?
উ: কলামের ফুটিং এর সেন্টার লাইন ও কলামের সেন্টার লাইন একই মধ্যবিন্দু বা সেন্টারে লাইনে অবস্থান করবে।
১৬. ২য় তলার জন্য কলাম দেওয়ার ক্ষেত্রে কলাম রড কত টুকু রাখতে হবে?
উ: ল্যাপিং দেওয়ার জন্য যতটুকু রড লাগবে ততটুকু দিতে হবে অর্থাৎ ৩'-৪' রাখতে হবে।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.