বাড়ি কিনার জন্য প্রয়োজনীয় পরামর্শ tips for buying a home:
বাড়ি কিনা সম্পর্কে সিদ্ধান্ত নিতে সাধারণত একেবারে সঠিক তথ্য এবং যোগাযোগের পরামর্শের প্রয়োজন হয়। আপনি যে বাড়ি কিনতে চান, তা অনুযায়ী আপনার সামর্থ্য, আর্থিক সম্পত্তি, ও সাংবাদিক অবস্থা ভালোমত পর্যালোচনা করা উচিত।
নিজের একটা বাড়ি হবে- এ স্বপ্ন কে না দেখে? কিন্তু বাড়ি হবে বললেই তো আর হয়ে যায় না। এর জন্যে দরকার হয় প্রয়োজনীয় বেশ কিছু জিনিস আর সেই সাথে খানিকটা বুদ্ধিরও। প্রয়োজনীয় জিনিস বলতে আর্থিক সঙ্গতি, মানসিক প্রস্তুতির মতন ব্যাপার তো রয়েছেই। সেই সাথে আছে বাড়ি বা ফ্ল্যাট কেনার পরবর্তী পরিস্থিতিকে সামাল দেওয়ার ব্যবস্থাও। তবে আপনার মনে প্রশ্ন আসতেই পারে যে বাড়ি বা ফ্ল্যাট কিনতে গেলে বুদ্ধির কি দরকার? বাস্তবে এরকম কোন কাজের জন্যে যে জিনিসটি সবচাইতে বেশি দরকার সেটি হচ্ছে এই বুদ্ধিই। একজন বুদ্ধিমান মানুষের পক্ষেই কেবল নিজের চারপাশ, আর্থিক সঙ্গতি, প্রস্তুতি- সবটা বুঝে শুনে তারপর বাড়ি কেনার সিদ্ধান্ত নেওয়া সম্ভব হয়। আর তাই আপনি যদি বাড়ি বা ফ্ল্যাট কিনতে চান তাহলে বুদ্ধিমান মানুষের মতন নিজেকে চটজলদি করে ফেলুন এই প্রশ্নগুলো আর জেনে নিন সত্যিই জীবনের এই বড় সিদ্ধান্তটির জন্যে আপনি আসলেই সবদিক দিয়ে প্রস্তুত আছেন কিনা।
ফ্ল্যাট বা বাড়ির মাসিক খরচা দেওয়ার সামর্থ্য আপনার আছে কি?
একটি বাড়ি বা ফ্ল্যাট কিনে ফেলা মানে কিন্তু ঝামেলা একেবারেই চুকে যাওয়া নয়। যদি সেটা হয় কিস্তিতে কেনা তাহলে তো বাড়তি মাসিক একটা বোঝার ব্যাপার রয়েছেই। সেই সাথে বাড়ি বা ফ্ল্যাট তদারকি, সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করাসহ প্রয়োজনীয় বিভিন্ন কাজে প্রতিমাসে আপনাকে খরচ করতে হবে বাঁধা একটা অঙ্ক। ভেবে দেখুন, জমানো টাকা দিয়ে একটা ঘর নাহয় হয়ে গেল, কিন্তু প্রতিমাসের আয় থেকে এই বাড়তি খরচ দেওয়ার ক্ষমতাটা আপনি রাখেন তো? যদি মাসের সব আয় আপনার জীবন-যাপনেই খরচ হয়ে যায় তাহলে আরো একবার ভাবুন আপনি এখনই বাড়িটি কিনবেন কিনা ( মানি আন্ডার থার্টি )।
ঠিক কতদিন আপনি থাকছেন ফ্ল্যাটটিতে?
খুব পুরোনো নিয়ম অনুসারে আপনার সেখানেই খরচ করা উচিত যেখানটায় আপনি স্থায়ী হতে চাইছেন কিংবা কমপক্ষে ৩ থেকে ৫ বছরের জন্যে থাকছেন। হয়তো আপনার মনে হতেই পারে যে কেনা দামে বাড়ি বা ফ্ল্যাট বিক্রি করে ফেললে সমস্যা কোথায় হবে? বাস্তবে একটি বাড়ি কেনার সময় এর পেছনে আরো কিছু বাড়তি খরচ আপনার হয়েই যাবে যেগুলো পরবর্তীতে এক বছর- দুই বছরের মাথায় বিক্রি করে দিলে আর পুষিয়ে উঠতে পারবেননা আপনি। বিশেষজ্ঞদের মতে- কোন বাড়ি বা ফ্ল্যাট কেনার সময় কমপক্ষে সেখানে ৭ বছর থাকবার পরিকল্পনা থাকা উচিত ( ব্যাংকরেট )। তাই কোন কিছু কেনার আগেই চিন্তা করে নিন ঠিক কতদিন সেটা ব্যবহার করতে চলেছেন আপনি।
স্থানটি আপনার জন্যে সুবিধাজনক কি?
প্রথমে আপনি নিজের আর্থিক অবস্থা নির্ধারণ করতে পারেন কিনা, কারণ এটি অনেকটা গুরুত্বপূর্ণ। আপনার বাজেট কতটুকু এবং আপনি কি ধরনের ঋণ অনুমোদন পেতে পারবেন, এগুলো পরিস্থিতি নির্ভর করে।
দ্বিতীয়ভাবে, বাড়ির অবস্থান গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। আপনি কোথায় বাড়ি কিনতে চান, তা কীভাবে বাড়ির জন্য আপনার প্রত্যাশা এবং চাহিদা সাথে মিলে যায়, এটি নির্ধারণ করতে সাহায্য করে। স্কুল, কলেজ, অফিস, চিকিৎসা সেবা, সার্কুলার বাজারের উপস্থিতি, পারিবারিক সদস্যদের সঙ্গে সম্পৃক্ততা, সুরক্ষা ও সুরক্ষার প্রয়োজনীয়তা, পরিবেশ ও সাময়িক অবস্থা - এই সবকিছু বিবেচনা করে বাড়ির অবস্থান নির্ধারণ করতে হবে।
একটি অন্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো বাড়ির ধরণ। আপনি একটি অ্যাপার্টমেন্ট, একটি সিংগেল ফ্যামিলি বাড়ি, বা একটি বিল্ডিং বা বস্তুসংগ্রহ বাড়ি কিনতে চান তা নির্ধারণ করতে হবে। আপনার পরিবারের আকাঙ্ক্ষা ও আপনার জীবনধারা বিবেচনা করে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত।
If you have any doubt , let me know.