{ads}

রিয়েল এস্টেট মার্কেটিং কর্মকর্তাদের কি কি প্রযুক্তি থাকা প্রয়োজন|What technology do real estate marketing executives need to have?

রিয়েল এস্টেট মার্কেটিং কর্মকর্তাদের যা যা technology প্রয়োজনঃ


আধুনিক যুগে প্রযুক্তি অনেক এগিয়েছে। খুব স্বাভাবিক ভাবেই রিয়েল এস্টেট বিপণনেও এর প্রভাব পড়েছে। এখন রিয়েল এস্টেট বিপণনের ক্ষেত্রেও প্রযুক্তির অনেক ব্যবহার রয়েছে। তার কিছু আমরা ব্যবহার করি তবে বেশীটাই ব্যবহার করি না। রিয়েল এস্টেট এজেন্ট, ডেভেলপার, ক্রেতা ও বিক্রেতা সবাই বাড়ি কেনা অথবা ভাড়া নেবার ক্ষেত্রে এখন বিভিন্ন ধরনের প্রযুক্তি, ডিভাইস ও এ্যাপ্লিকেশন ব্যবহার করে সাফল্য পেতে পারেন।বহুজাতিক অনলাইন রিয়েল এস্টেট মার্কেট প্লেস লামুডি সম্প্রতি বিভিন্ন দেশের রিয়েল এস্টেট বিপণন কর্মকর্তাদের মাঝে একটি জরিপ করে দেখেছে যে পাঁচটি অপরিহার্য্য প্রযুক্তি অথবা কৌশল রয়েছে যা আবাসন সেক্টরের বিপণনে খুব গুরুত্বপূর্ণ।

(১) বহনযোগ্য স্ক্যানার : 

স্মার্ট ফোন অথবা ট্যাবকে বহনযোগ্য স্ক্যানারে রূপান্তর করার মাধ্যমে রিয়েল এস্টেট বিপণন কর্মকর্তা কারি কারি কাগজ বহন করা থেকে মুক্তি পেতে পারেন। একজন রিয়েল এস্টেট বিপণন কর্মকর্তার যে পরিমাণ কাগজপত্র নিয়ে দেনদরবার করতে হয় তা এক নিমেষেই মোবাইল ফোনের একটি বোতাম চেপেই করে ফেলা সম্ভব। হাতের কাছে রয়েছে সহজ কিছু মোবাইল এ্যাপ্লিকেশন যেমনScanner Pro অথবা DocuSign যা দিয়ে ডকুমেন্ট স্ক্যান করে সরাসরি শেয়ার করা যায়। আর এভাবে স্বাক্ষরিত ডকুমেন্ট খুব সহজেই চোখের নিমিষে ক্রেতাকে পৌছে দেয়া যায়। এতে সময় ও শ্রম দুটোই বাঁচে।

(২) ভিডিও ফুটেজ : 

একজন ব্যাক্তি এ্যাপার্টমেন্ট কিনতে মনস্থির করলেও দেখা যায় সময়ের অভাবে তার পক্ষে বিভিন্ন এলাকায় বারবার গিয়ে ফ্ল্যাট দেখা সম্ভব হয় না। উন্নত রেজুলেশনের ভিডিও ফুটেজ ক্রেতা ও বিক্রেতা উভয়কেই এই ঝামেলা থেকে মুক্তি দিতে পারে। প্রাথমিক বাছাইয়ের জন্য সাইট ভিজিটে না নিয়ে গিয়ে ক্রেতাকে বিভিন্ন প্রজেক্টের ভিডিও ফুটেজ দেখিয়ে তার মতামত নেয়া যায়। ভিডিও ফুটেজ দেখে তা পছন্দ হলে পরে ক্রেতাকে সাইট দেখাতে নিয়ে গেলে ক্রেতার সময় অনেকখানি বেচে যায়। এছাড়া প্রাথমিক বাছাইয়ে সহায়তা করার জন্য উন্নত রেজুলেশনের ছবি সরবরাহ করেও ক্রেতার সময় বাচানো যায়।

(৩) সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম : 

আপনার হয়তো অত্যন্ত ভালো কিছু প্রজেক্ট রয়েছে। কিন্তু তার গুরুত্ব কি যদি সম্ভাব্য ক্রেতারা তা না দেখে? সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের সদ্ব্যবহার করে রিয়েল এস্টেট বিপণন কর্মকর্তাগণ নতুন ক্রেতা খুজে পেতে পারবেন। এছাড়াও এই প্ল্যাটফর্ম গুলো ব্যবহার করে সম্ভাব্য ক্রেতাদের সংস্পর্শে আসা যায়, ব্র্যান্ডিং করা যায়। এছাড়াও সামাজিক যোগাযোগ সাইটে আপনার পেইজে ভিজিটরদের আপনার পোস্টিংগুলোর মাধ্যমে খুব সহজেই আপনার দক্ষতা ও অভিজ্ঞতার পরিচয় দিতে পারবেন।

(৪) লোন ক্যালকুলেটর : 

প্রপার্টি কেনার ক্ষেত্রে ক্রেতাগণ সবসময়ই যতোটা সম্ভব সতর্কতা অবলম্বন করেন। আর প্রথমবারের ক্রেতারা তো রীতিমতো আতঙ্কে ভোগেন। খুবই স্বাভাবিক, কারণ তারা তাদের জীবনের সবটাই মোটামুটি এখানে বিনিয়োগ করতে যাচ্ছেন। বিপণন কর্মকর্তার সাফল্যও নির্ভর করে এই বিষয়টিকে তিনি কতোটা সতর্কতার সাথে মোকাবেলা করতে পারছেন তার উপর। এক্ষেত্রে বাজারে প্রচলিত আর্থিক সহায়তার দৃশ্যমান একটি চিত্র তুলে ধরতে পারলে ক্রেতারা অনেকটাই স্বাচ্ছন্দ বোধ করেন। আর মর্টগেজের হিসাব বিবরণী তুলে ধরতে সহায়তাকারী ওয়েবসাইট অথবা মোবাইল এ্যাপ ব্যবহার করে একজন বিপণন কর্মকর্তা খুব সহজেই তা করতে পারেন। এক্ষেত্রে তিনি এ্যান্ড্রয়েড এ্যাপ্লিকেশন Karl’s Mortgage Calculator এর সহায়তা নিতে পারেন অথবা Mortgage Calculator ব্যবহার করতে পারেন যা ইন্টারনেটে বিনামূল্যে পাওয়া যায়।

(৫) অনলাইন স্টোরেজ : 

রিয়েল এস্টেট বিপণন কর্মকর্তার পেশাগত কাজে অনলাইন স্টোরেজ খুব গুরুত্বপূর্ণ। যেমন Dropbox। প্রজেক্টের যাবতীয় তথ্যাবলী, যেমন ছবি, ভিডিও, চুক্তিপত্র ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ ডকুমেন্ট বারবার ই-মেইল করার চেয়ে Dropbox এ একটি ফোল্ডার তৈরী করে সেখানে সব কপি করে ওই ফোল্ডারের একটি লিঙ্ক ক্রেতার কাছে পাঠিয়ে দিলেই হয়ে গেলো।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.