ভূমিকম্পের পূর্বপ্রস্তুতি Earthquake preparedness
ভূমিকম্পের পূর্বপ্রস্তুতি অনেকগুলো বৈশিষ্ট্য ও ক্ষেত্রের মধ্যে বিভক্ত হতে পারে, কারণ এটি একটি মহা বিপদ যা মানব সমাজের জন্য অত্যন্ত জীবনবাচাও ও সংক্ষেপণ সম্ভব করে নেওয়ার জন্য উচ্চ প্রয়োজন। ভূমিকম্প প্রস্তুতির কিছু মৌলিক বিষয়সমূহ নিম্নে উল্লেখ করা হলো:
ঘরবাড়ির প্রস্তুতি:
* বাড়ির ছাদ ও দেয়ালে ফাটল থাকলে তা চিহ্নিত করে মেরামতের ব্যবস্থা করা।
* স্কুলের ভবন ভূমিকম্পে টিকে থাকবে কি না, সেটা পরীক্ষা করা এবং প্রয়োজনে মজবুত করা।
* বিল্ডিং কোড মেনে বাড়ি বানানো।
* ভবনের উচ্চতা ও ওজনের (লোড) হিসাব অনুযায়ী শক্ত ভিত দেওয়া।
* অবকাঠামোগুলোতে রিইনফোর্সড কংক্রিট ব্যবহার করা।
* গ্যাস ও বিদ্যুৎ সরবরাহ লাইন নিরাপদভাবে স্থাপন করা।
* নরম মাটির ওপর ভবন নির্মাণে বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করা।
* জলাশয় ভরাট করে বাড়ি বা স্থাপনা তৈরি না করা।
* জানালার দৈর্ঘ্য ও প্রস্থ অবশ্যই দেয়ালের অর্ধেকের চেয়ে কম রাখা।
* প্রতি তলার ছাদ একই রকম রাখা।
* ভূমিকম্পের সময় নিরাপদে বের হওয়ার সঠিক পথ শনাক্ত করা।
* ভারী জিনিসপত্র কম উচ্চতায় রাখা।
* স্কুল, হাসপাতাল, ওয়ার্ড ও অন্যান্য অফিসে নিয়মিত ভূমিকম্প প্রতিকার মহড়ার ব্যবস্থা করা।
* বাড়িতে থাকলে খাটের নিচে আশ্রয় নেওয়া।
* কাচের জানালা, ভারী জিনিসপত্র, পরীক্ষাগারের রাসায়নিক দ্রব্য এবং মাথার ওপরের ঝুলন্ত বস্তু থেকে দূরে থাকা।
* ভয় পেয়ে ওপর থেকে লাফিয়ে না পড়া।
* ঘরের বাইরে থাকলে দালান, বড় গাছপালা, বিদ্যুৎ ও গ্যাস সরবরাহ লাইন থেকে দূরে থাকা।
* দিনের বেলা সম্ভব হলে তাৎক্ষণিকভাবে বিদ্যুৎ সরবরাহ লাইন বন্ধ করা। রাতে বিদ্যুৎ লাইন বন্ধ করে দিলে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়তে পারে।
* পরবর্তী ভূমিকম্পের জন্য প্রস্তুত থাকা।
* খোলা ও নির্ধারিত স্থানে আশ্রয় নেওয়া।
* ক্ষতিগ্রস্ত স্থাপনায় না ঢোকা, যা ভেঙে পড়তে পারে এবং আগুন লাগলে তা নেভানোর ব্যবস্থা করা।
* উদ্ধারকাজে নিজেকে নিয়োজিত করা।
* আহত মানুষকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া ।
* রেডিও ও টেলিভিশন থেকে প্রচারিত জরুরি নির্দেশাবলি শোনা এবং তা মেনে চলা।
* জরুরি প্রয়োজন ছাড়া টেলিফোন ও মোবাইল ফোন ব্যবহার না করা। কারণ, এতে জরুরি সেবা বিভাগের যোগাযোগ বাধাগ্রস্ত হতে পারে।
* সরকারি ও বেসরকারি সংস্থাগুলোকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষা এবং সঠিক তথ্য দিয়ে সক্রিয় সহযোগিতা করা।
* স্কুলের ভবন ভূমিকম্পে টিকে থাকবে কি না, সেটা পরীক্ষা করা এবং প্রয়োজনে মজবুত করা।
বাড়িঘর নির্মাণে সতর্কতা:
* বাড়িঘর নির্মাণে সরকারি ও কারিগরি নিয়মকানুন মেনে চলা।* বিল্ডিং কোড মেনে বাড়ি বানানো।
* ভবনের উচ্চতা ও ওজনের (লোড) হিসাব অনুযায়ী শক্ত ভিত দেওয়া।
* অবকাঠামোগুলোতে রিইনফোর্সড কংক্রিট ব্যবহার করা।
* গ্যাস ও বিদ্যুৎ সরবরাহ লাইন নিরাপদভাবে স্থাপন করা।
* নরম মাটির ওপর ভবন নির্মাণে বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করা।
* জলাশয় ভরাট করে বাড়ি বা স্থাপনা তৈরি না করা।
* জানালার দৈর্ঘ্য ও প্রস্থ অবশ্যই দেয়ালের অর্ধেকের চেয়ে কম রাখা।
* প্রতি তলার ছাদ একই রকম রাখা।
অন্যান্য প্রস্তুতি:
* ভবনের বিভিন্ন কক্ষে ঝুঁকিপূর্ণ স্থানগুলো চিহ্নিত করা এবং নিরাপদ স্থানটি জেনে রাখা।* ভূমিকম্পের সময় নিরাপদে বের হওয়ার সঠিক পথ শনাক্ত করা।
* ভারী জিনিসপত্র কম উচ্চতায় রাখা।
* স্কুল, হাসপাতাল, ওয়ার্ড ও অন্যান্য অফিসে নিয়মিত ভূমিকম্প প্রতিকার মহড়ার ব্যবস্থা করা।
ভূমিকম্পের সময় করণীয়:
* টেবিল, ডেস্ক বা বেঞ্চের নিচে আশ্রয় নেওয়া।* বাড়িতে থাকলে খাটের নিচে আশ্রয় নেওয়া।
* কাচের জানালা, ভারী জিনিসপত্র, পরীক্ষাগারের রাসায়নিক দ্রব্য এবং মাথার ওপরের ঝুলন্ত বস্তু থেকে দূরে থাকা।
* ভয় পেয়ে ওপর থেকে লাফিয়ে না পড়া।
* ঘরের বাইরে থাকলে দালান, বড় গাছপালা, বিদ্যুৎ ও গ্যাস সরবরাহ লাইন থেকে দূরে থাকা।
* দিনের বেলা সম্ভব হলে তাৎক্ষণিকভাবে বিদ্যুৎ সরবরাহ লাইন বন্ধ করা। রাতে বিদ্যুৎ লাইন বন্ধ করে দিলে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়তে পারে।
* পরবর্তী ভূমিকম্পের জন্য প্রস্তুত থাকা।
ভূমিকম্প-পরবর্তী করণীয়:
* বিচলিত হয়ে সবাই দরজার দিকে একসঙ্গে না দৌড়ে শান্ত ও সারিবদ্ধভাবে মহড়ার নির্দেশিত পথে বের হয়ে আসতে হবে।* খোলা ও নির্ধারিত স্থানে আশ্রয় নেওয়া।
* ক্ষতিগ্রস্ত স্থাপনায় না ঢোকা, যা ভেঙে পড়তে পারে এবং আগুন লাগলে তা নেভানোর ব্যবস্থা করা।
* উদ্ধারকাজে নিজেকে নিয়োজিত করা।
* আহত মানুষকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া ।
* রেডিও ও টেলিভিশন থেকে প্রচারিত জরুরি নির্দেশাবলি শোনা এবং তা মেনে চলা।
* জরুরি প্রয়োজন ছাড়া টেলিফোন ও মোবাইল ফোন ব্যবহার না করা। কারণ, এতে জরুরি সেবা বিভাগের যোগাযোগ বাধাগ্রস্ত হতে পারে।
* সরকারি ও বেসরকারি সংস্থাগুলোকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষা এবং সঠিক তথ্য দিয়ে সক্রিয় সহযোগিতা করা।
If you have any doubt , let me know.